
এবার আমি অনেক determined, আমি পারবোই, পারবোই ভার্সিটির চার বছরের জীবনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রথম পরীক্ষা দিতে। ছক কষে ফেললাম এক কঠিন যুদ্ধ প্রস্তুতির। প্রতিটি ঘন্টা, মিনিট, সেকেন্ড, ন্যানো ও মাইক্রো সেকেন্ডর। এটা আমার চ্যালেঞ্জ, ফড় ড়ৎ ফরব পরিস্থিতি। আমাকে জিততেই হবে, জিততেই হবে নিজের অলসতার বিরুদ্ধে। প্রস্তুতি নিয়েই এবার পরীক্ষা হলে যাবো। আগের দিন সকাল থেকেই শুরু হবে আমার মরণপণ রণপ্রস্তুতি।
ধুমধাম আওয়াজে হঠাৎ চমকে উঠলাম। কিছু সেকেন্ড লাগলো আবিষ্কার করতে নিজের অবস্থান। পারিপাশ্বিক অবস্থা দেখে আতঁকে উঠলাম। পুরো রুম সূর্যের আলোয় আলোকিত, দরদর করে ঘামছে দেহ। জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই আক্কেলগুড়–ম, মাথার উপর সূর্য, দুপুর বারোটা ।
হতাশায় মন খারাপ হয়ে যায়। হতাশা থেকেই চোখ জুড়ে নেমে আসে ব্যর্থতার ঘুম । রুমমেটের ডাকে ঘুম যখন ভাঙ্গে তখন সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ছে। ঘুমিয়ে ক্লান্ত দেহ নিয়ে খাওয়া খেলাম। তারপরেই মনে পড়ল কালকে পরীক্ষা কিন্তু আমার কাছে কোন বই কিংবা শিট নেই।
বন্ধু স্যারকে ফোন দিলাম, নিয়ে আসলাম চির আকাঙ্কিত শিট। হায় বিধি বাম, একসাথে ভিড় করে অনেকগুলো কাজ, কাজের জন্য আমি এখান থেকে ওখানে ঘুরি সাথে ঘুরতে থাকে আমার শিট। কাজ সেরে বাসায় ফিরলাম যখন ঘড়ি দেখে মাথায় হাত,রাত বারোটা। অবশেষে নিজের প্রতি একরাশ ঘৃণা আর পরের দিনের রণপ্রস্তুতির খসড়া এঁকে বিছানায় সপে দিলাম নিজের দেহ।
(চলবে…)
মন্তব্য করুনঃ